‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১ জুলাই উদযাপিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সকল শ্রেষ্ঠ অর্জনের অংশীদার ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাবি উপাচার্য দফতর সংলগ্ন আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শনের সূতিকাগার। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। এই প্রতিপাদ্যকে সমুন্নত রেখে বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমভাবে এগিয়ে যাবে; গড়ে তুলবে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কাঙ্ক্ষিত উন্নত এক বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার দিনটি উদযাপনের এটিই আমাদের অঙ্গিকার।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানান ও শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথমে সকাল ১০টায় হলসমূহ থেকে শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যে ছাত্রশিক্ষক সকলে মল-চত্বরে সমবেত হবেন। তারপর জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো ও কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আখতারুজ্জামান। পরে শোভাযাত্রাসহ সকলে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গমন করবেন। সেখানে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হবে দিবসটি।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।