কোন ধরনের জালিয়াতি ও অনিয়মের খবর ছাড়াই শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৫৪টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এসে এমবিএ ভবনের ১০ তলায় দুটি কক্ষ পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
এরপর তিনি ডিন কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
নির্বিঘ্নভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন।
তিনি বলেন, “যে ৫৪ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে অত্যন্ত নজরদারি রাখা হয়েছে। সে নজরদারি শুধু পরীক্ষার হলে আমাদের সহকর্মীদের প্রত্যবেক্ষণের নজরদারি তা-ই না সেই প্রত্যবেক্ষণের বাইরেও আমাদের কঠিন নজরদারি রয়েছে।”
গতবছর সিআইডির মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতদের একটি চক্রকে আইনের আওতায় আনার জন্য এবার কোন ধরনের জালিয়াতির খবর পাওয়া যায়নি বলে উপাচার্য সাংবাদিকদের জানান।
“আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি ও আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলো। এবছর আমাদের ঝুঁকি অনেক কম হয়েছে কেননা, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একটি ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে আইনের আওতায় এনেছি। ফলে এটা একটা বড় প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করেছে। আমি কয়েকটি হল ঘুরে পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, প্রশ্নপত্রের মান, পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ নিয়ে তারা সন্তুষ্ট বলে আমাকে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি।”
পরীক্ষা শেষে প্রক্টরের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, “পরীক্ষা আমাদের যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য সেভাবে নিতে পেরেছি। অত্যন্ত আনন্দমুখর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন ধরনের অঘটন বা অনিয়মের খবর নেই। সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় আমরা আনন্দিত। যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে আমরা তো আছিই, তার পাশাপাশি আমরা সবসময়ই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা কামনা করি।”
বরাবরের মতই মোবাইল ফোনসহ টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এবার।
যে কোনো ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করেছে।
গ’ ইউনিটের ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে এবার ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৬০ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির লড়াইয়ে অংশ নেন ২১ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের লাগোয়া কেন্দ্রগুলোর বাইরে এবার লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (admission.eis.du.ac.bd) থেকে জানা যাবে।