মাশরাফি বিন মুর্তজা কোথাও যাবেন আর ভক্তদের জটলা হবে না, চারদিকে হৈ চৈ হবে না, সেলফি শিকারীরা ঘিরে ধরবেন না, সেটা কি কখনও সম্ভব?
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হল খেলার মাঠে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন দেশের সেরা অধিনায়ক।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল, শনিবার সকাল ৮টায় ঢাবির জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগ আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে মাশরাফি উপস্থিত থাকবেন।
এটা শোনার পর থেকেই প্রিয় ক্রিকেটারকে সামনাসামনি এক নজর দেখতে অধীর আগ্রহে ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী
শিক্ষার্থীরা। মাশরাফিকে সরাসরি দেখবেন, সেলফি তুলবেন এগুলোই ছিল তাদের আলোচ্য বিষয়।
কিন্তু সকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সাথে ভক্তদের মন খারাপ হতে থাকে। যদি খেলা না হয় তাহলে তো তাদের মাশরাফি দর্শন হবে না। অবশেষে দুপুর দেড়টায় খেলা শুরু হয়। প্রথম ইনিংসের শেষভাগে ভক্তদের বহুল প্রত্যাশিত ম্যাশ জগন্নাথ হল মাঠে প্রবেশ করেন। মুহূর্তেই খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে জনসমুদ্রে পরিণত হয় ঢাবির জগন্নাথ হল মাঠ।
ভক্তদের আবদার সেলফি তুলবেন তারা। কিন্তু ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। শুরু হয়ে গেলো জটলা। মাশরাফি বিরক্ত না হয়ে হাসিমুখে অনেক ভক্তের আবদার পূরণও করলেন। যারা সেলফি তুলেছেন তারা ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এর আগে স্টেডিয়ামে দূর থেকে খেলতে দেখেছি। তার সাথে ছবি তোলার হাত মেলানোর ইচ্ছা বহুদিনের। আজ সে আশা পূরণ হলো।
এরকম অনেক শিক্ষা
র্থীই আজ মাশরাফির সাথে সেলফি তুলতে পারায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকে মুঠোফোনে তোলা সেলফিটি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন আর ক্যাপশনে লিখেছেন ‘বসের সাথে একখানা সেলফি’, গুরুর সাথে, মিস্টার ক্যাপ্টেনের সাথে ইত্যাদি ভালবাসা মাখানো ক্যাপশন।
প্রায় ঘণ্টা খানেকের মত ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিকেল ৩টার দিকে মাশরাফি ক্যাম্পাস ছাড়েন।
যাবার আগে বলেন, এখানে এসে ভাল লাগছে। বাংলাদেশ জিতলে ঢাবিতে যে আনন্দ মিছিল হয় সেটা অনেক ভাল লাগে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। পড়াশোনা শেষ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আপনারাই।