ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিমের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগকে ভ্রুক্ষেপ না করে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করার তীব্র নিন্দা জানান। ফলাফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জোর দাবিও জানান তারা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হচ্ছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। অথচ ঢাবির শিক্ষার্থীরা গর্ব করে বেড়ায়৷ প্রশ্ন ফাঁসের দায় যতটা প্রশাসনের ততটাই দায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কারণ তারা প্রতিবাদ করছে না। আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই আপনারা প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার অথচ প্রশাসন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। পরপর দু’ বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হলো কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। আমরা বলতে চাই প্রশ্নফাঁস একটি অমানবিক অপরাধ। আমাদের দাবি তাই পরিষ্কার। ‘ঘ’ ইউনিটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিমকে পদত্যাগ করতে হবে, প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ তাহা সকলকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের চুপ করে থাকলে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। আসুন আমরা প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, আসুন প্রতিবাদ করি।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত অন্তর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা জাতির স্বপ্ন। আমাদের গর্বের জায়গা। প্রশ্নফাঁসের সাথে প্রশাসন সরাসরি জড়িত। তাছাড়া প্রতিবছর এরকম হতো না। ঢাবি প্রশাসনে যারা আছেন সবাই আমদের শিক্ষক। কিন্তু যারা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েও চেয়ারে বসে থাকে তাদের কাছে আমরা কী শিখব? ঢাবির বর্তমান ভিসি প্রক্টর এত ব্যর্থ এবং অপমানিত হয়েও তাদের পদে কিভাবে বহাল থাকেন?
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।