ঢাবি প্রতিনিধি: নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রক্টরের নিশ্চুপ ভূমিকার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী রঙিন চশমা পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে ।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলাভবন প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তা শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ডে ‘আমাদের প্রক্টর রব্বানী না, আমাদের প্রক্টর শামসুজ্জোহা’, ‘শিক্ষা ছাত্রলীগ একসাথে চলে না’, ‘প্রক্টরের বেতন ছাত্রলীগকে দেয়া হোক’, ‘আমাদের চোখের দিকে তাকাতে পারবি না, ছাড়খার হয়ে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান লিখে বিক্ষোভ করে।
প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো শেষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান খান সাংবাদিকদের বলেন, আজকের কর্মসূচীতে আমরা রঙ্গিন চশমা পরে উপস্থিত হয়েছি। এর অনেকগুলো কারণ আছে।
‘প্রক্টর সাহেব আমাদের দেখলেই তার অফিসের গেটটা (যেটা বিকাল পর্যন্ত সব সময় খোলা থাকে) বন্ধ করার জন্য অস্থির হয়ে যান। এতে করে আমাদের বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে যে, ‘তিনি’ আমাদের চোখের দৃষ্টি সহ্য করতে পারেন না।’
তিনি আরো বলেন, তাকে আমরা চরম ব্যর্থ এবং বেহায়া মনে করি তাই আমরাও তার দিকে সরাসরি তাকাতে চাই না। এমনকি আমরা এও চাই না, একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রক্টরের কুশপুত্তলিকার ধোঁয়ায় আমাদের চোখ জ্বালা করুক।
এ সময় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে আবু রায়হান বলেন, আমরা দেখেছি যে, আমরা যেখানেই যাই, প্রক্টর আমাদের আটকে দেয়। এই প্রক্টরের যদি লজ্জা থাকে, তাহলে যেনো পদত্যাগ করেন।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রীদের নিপীড়নের অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি প্রক্টর অফিসের কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে তাকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় পরেরদিন অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার প্রতীকী রঙ্গিন চশমা মিছিল ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা।