এবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সাকিবুর রহমান সায়েম। তার নেতৃত্বে সাত-আটজন ছাত্রলীগ কর্মী ইমনের উপর হামলা চালান বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. ইমন। তিনি হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)-তে আড্ডা দেওয়ার সময় দুই ছাত্রদল নেতাকে মারধর করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে ইমনকে সাত-আটজন ছেলে মারধর করে। মারধরের ফলে ইমনের গায়ের জামা ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে খালি গায়ে ইমন আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ইমন দৌড়ে পালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিককে ফোন করে তাকে বাঁচাতে সাহায্য চান। পরে সাংবাদিকরা গিয়ে ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মর্ডাণ ল্যাগুয়েজ (আইএমএল) এর ভিতর থেকে উদ্ধার করে।
তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবহিত করলে তিনি প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠিয়ে আহত ইমনকে সাহয্য করেন।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি কেবল শুনলাম। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে তারপর জানাবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ইমনকে সাহায্য করতে প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠিয়েছি। হামলাকারীদের সনাক্তের জন্য সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিবো।’