ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে গণপরিবহনের চাপ। দুপুর ১২টার পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এতদিন থেকে বন্ধ থাকা ঢাকামুখী গণপরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। এর ফলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সড়কে ক্ষণে ক্ষণেই যানবাহনের চাপে দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত উত্তরবঙ্গের ১৯টি জেলাসহ টাঙ্গাইল, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন গণপরিবহনকেও এ মহাসড়কে কোন প্রকার বাঁধাহীন ভাবেই চলতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও এ মহাসড়ক দিয়ে সরকার পরিচালিত বিআরটিসির একাধিক বাসেও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
তবে এসব গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না এক আসন খালি রাখা নীতি, দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কিন্তু রক্ষা করা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কোন প্রকার তৎপরতাও দেখা যায় যায়নি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে।
এ বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত কেউ কথা বলতে রাজি না হলেও এলেঙ্গা চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের খাতায় গণপরিবহনের নম্বর টুকে রাখতে দেখা গেছে।
এর আগে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও নৌ পথে মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অযাত্রীবাহী পরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহন সংকট ও প্রাকৃতিক বৈরি পরিবেশের মধ্যে কর্মমুখী এসব মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বেশি দুর্ভোগে ছিলেন নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।