বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোন এলাকায় ২০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা পাওয়া গেলেই ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশাবাহি অন্যান্য রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী ঢাকায় বেশিরভাগ জায়গায় ৩০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা আছে, কোন কোন জায়গায় তা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। এমন পরিসংখ্যান দিয়ে কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এডিস মশার উৎকৃষ্ট প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।
এডিস মশার কারণে ২০০৮ সালে ঢাকার দোহারে এবং ২০১১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর চলতি বছর এপ্রিল থেকে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার কামডে ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
চিকুনগুনিয়া প্রকোপের পর জুন মাসের ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে রাজধানীর ৫০টি এলাকায় জরিপ চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দুই সিটি কর্পোরেশন। এতে বেশিরভাগ এলাকাতেই ২০ শতাংশের বেশি বাসা-বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবীরুল বাশারের মতে, দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে মশা নিধনে একই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে ওই ওষুধের বিরুদ্ধে টিকে থাকার সক্ষমতা পাচ্ছে মশা।
তার আশঙ্কা, এডিস মশা বিস্তারের কারণে এবার জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়তে পারে। কেউ যদি একইসাথে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হন ঝুঁকি বাড়বে বেশি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: