১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামল শুক্রবার সন্ধ্যায়। নয় দিনের এ উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭২টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিকেল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন উৎসবে আগত চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট গুণী মানুষেরা।
‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৯’ উৎসবে এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগ, রেস্ট্রোস্পেক্টিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, বেস্ট চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, উইমেন ফিল্মমেকার সেকশনসহ শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্টে মোট আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে দেয়া হয় শিশু চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার। যা কাজাখস্তানের চলচ্চিত্র ‘লিটল প্রিন্স ইন আওয়ার সিটি’ জিতে নেয়।
এরপর দর্শক বিবেচনায় ‘বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ এ ঘোষিত হয় ভারতের চলচ্চিত্র ‘এক যে ছিল রাজা’। ছবির নির্মাতা সৃজিত মুখার্জী না এলেও এই পুরস্কারের ঘোষণায় মিলনায়তনে দর্শকের হুল্লোড় লক্ষ্য করা যায়।
এরপর ঘোষিত হয় নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম। ফিলিপাইনের সিনেমা “মামাঙ”, স্বল্পদৈর্ঘ্যে সেরার পুরস্কার জিতে নেন ফাতেমা আহমাদির ‘বিটার সি’। প্রামাণ্যচিত্রে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ‘রাইজিং সাইলেন্স’। বীরাঙ্গনাদের অধিকার নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটির জন্য বেশ প্রশংসাও কুড়ান লীসা গাজী।
বাংলাদেশ প্যানোরোমা বিভাগে চলচ্চিত্রবিষয়ক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে মাসুম আজিজ নির্মিত ‘সনাতন গল্প’। তাকে দেয়া হয় ‘ফিপ্রেসি জুরি’ অ্যাওয়ার্ড।
এশিয়া কম্পিটিশন বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে কিরগিজস্তানের সিনেমা ‘ডারাক ইরে’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হয়েছেন ইরানের পোয়া বাদকোবেহ, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন তুরস্কের ইগিত এগে ইয়াজার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন তুরস্কের সফরা সিরলারি, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক হয়েছেন কাজাখস্তানের রিফকাত ইব্রাজিমভ ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন ফিলিপাইনের রদি ভেরা।
স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ভারত-ইউক্রেন যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘নামদেভ বাহু’, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বেলজিয়াম ও ইথিওপিয়ার যৌথ প্রযোজনা ‘ওয়াকিং ফর জেনা’ এবং সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য ইরানের ‘রিটার্ন’।