ঢাকায় কেমন দর্শক পাচ্ছে শাকিব-ববির ‘নোলক’?
অভিসারে মোটামুটি, সৈনিক ক্লাবে ৮ লাখ, আনন্দতে আড়াই লাখ টাকার ব্যবসা
ঈদের দিন থেকে দেশের ৭৭ সিনেমা হলে চলছে তারকাবহুল সিনেমা ‘নোলক’। মুক্তি পেয়েছে আরও দুই ছবি। ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘আবার বসন্ত’।
নোলকে শাকিব খান, ববি, ওমর সানি, মৌসুমী, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ কলকাতার অনেক শিল্পী রয়েছেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছে বি হ্যাপী এন্টারটেনমেন্ট, পরিচালনায় আছেন সাকিব সনেট।
উৎসবের আমেজ, বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা, বৃষ্টি-বাদল সবকিছুর মধ্যে রাজধানীর কয়েকটি সিনেমা হলে ‘নোলক’ কেমন চলছে সরেজমিন ঘুরে তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে…।
অভিসার সিনেমা হল
রাজধানীর টিকাটুলিতে অবস্থিত অভিসার সিনেমা হল। সেখানে চলছে ‘নোলক’। রোববার দুপুরে হলটিতে গেলে সেখনাকার ম্যানেজার মো: কবির চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, অভিসারে নোলকের দর্শক তুলনামূলক কম। ঈদের দিন থেকে একটি শো-ও হাউজফুল যায়নি। অভিসার থেকে এটাকে ব্যবসায়িক সফলতা বলা যায় না।
দর্শক কম থাকার কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, ঈদ করতে মানুষ বাড়ি গেছেন। শেষ করে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন, সপ্তাহের শেষে অথবা পরের সপ্তাহ ভালো যাবে।
তিনি বলেন, তবে ঈদের ছবির মতো ক্রেজ নেই। নবাব, বাদশা স্টাইলের ছবি না। নোলক দেখে মানুষ এনজয় করছেন। পারিবারিক ছবি।
সৈনিক ক্লাব
বনানীর ১৩০০ আসন ধারণ ক্ষমতার সৈনিক ক্লাবে বেশ ভালো যাচ্ছে নোলক। হলটির ম্যানেজার মো: মনির হোসেন সোমবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ইভিনিং এক শো হাউজফুল গেছে। এক শো হাউজফুল গেলেই ৬০ হাজার টাকার বেশি ওঠে। প্রথম তিনদিন পাঁচটি করে শো প্রদর্শিত হয়েছে। ৫ দিন ৮ লাখ টাকার মতো ব্যবসা করেছে নোলক।’
তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) সন্ধ্যার শোতেও ভালো গেছে। তবে বাম্পার হয়নি। সবমিলিয়ে নোলক এখানে ভালো চলছে। আমরা খুশি। ভাইজান এলো রে, শিকারী, বাদশা’র মতো আহামরি কিছু হয়েছে এমনটা নয়। তবে নোলক দর্শক টানার মতো ছবি।
আনন্দ সিনেমা হল
ফার্মগেটের এই হলটিতে চলছে ‘নোলক’। দায়িত্বরত জেনারেল ম্যানেজার শামসুদ্দিন মো: চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এভারেজ যাচ্ছে নোলক। বিশ্বকাপ ক্রিকেট না থাকলে বাম্পার অ্যাফোর্ড পেতাম। যেদিন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের খেলা থাকছে সেদিন সন্ধ্যার শো দর্শক কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বড় বাজেটের ছবি নোলক। পারিবারিক গল্পের ছবি নোলক। এ ধরণের ছবি যদি সারাবছর হয় এবং হলগুলো যদি সংস্কার করা হয় তবে আবার সিনেমা হলে মানুষ আসবে।
তিনি বলেন, আনন্দ সিনেমা হলের পরিবেশ খারাপ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এরপরেও দুই শো হাউজফুল পেয়েছি। হলের পরিবেশ ভালো থাকলে দর্শকদের জোয়ার আসতো আমি নিশ্চিত। প্রথমদিন ১ লাখ ২ হাজার টাকা, দ্বিতিয়দিন ৫৫ হাজার টাকা, তৃতীয়দিন ৩৯ হাজার টাকা, চতুর্থদিন ৩১ হাজার টাকা এবং পঞ্চমদিন ৩০ হাজার টাকার ব্যবসা করেছে নোলক।
ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাকিব সনেট, ‘নোলকের দর্শক সাড়া ও ব্যবসায়িক দিক নিয়ে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, যাদের জন্য ছবি বানিয়েছি তাদের থেকে প্রফার ফিডব্যাক আসছে।’
অভিসার সিনেমা হলে তুলনামূলক দর্শক কম এও জানেন সনেট।
তিনি বললেন, ‘অভিসারে শেয়ারে ছবি দিয়েছি। যতবেশি রিপোর্ট দেবে, আমাকে তত টাকা দিতে হবে।’
সনেট বলেন, জয়দেবপুর, সেনানিবাসের হলগুলোতে ভালো যাচ্ছে নোলক। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নোলকের হল বাড়তে পারে। ঈদের যে কোনো ছবি প্রথম দুই সপ্তাহের জন্য নেয়।