ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো বড় আকারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে এবার। বিএনপি শুরু থেকে ইভিএমের বিরোধিতা করে আসলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে অংশগ্রহণ করছে তারা। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা শেষ পর্যায়ে এসে ইভিএম পদ্ধতিতে কিভাবে ভোট দিতে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে তাও শেখাচ্ছেন।
বিএনপি শুধু নয়, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন এই পদ্ধতির ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত হতে। ইতোমধ্যে মক ভোটের মাধ্যমে কেউ কেউ ইভিএমে ভোটের অনুশীলন করলেও গণহারে সাধারণ ভোটাররা নতুন এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হবেন এই নির্বাচনে। সেজন্য এবারের ঢাকা সিটি নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকায় সিটি নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়নি বললেই চলে। তবে এরপরও বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন এমন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বলে আমাদের আশাবাদ।
ঢাকা সিটি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের আগে রাজধানীতে মোটরসাইকেল চলাচলে ৫৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের যানবাহনের ক্ষেত্রেও।
এতসব আয়োজন তখনই সফল হবে, যদি সব পক্ষ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ আগের চেয়ে বেশি উৎসবমুখর হয়ে উঠবে বলে আমাদের আশাবাদ। তবে ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ও কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।