নৈতিক সমর্থনের পর এবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
সোমবার দুপুর সোয়া একটায় তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্ত থেকে আমি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিচ্ছি।’
একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের জন্য ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলে কাদের সিদ্দিকী কাজ করে যাবেন বলে ঘোষণায় জানান।
এ ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, আ স ম আব্দুর রবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে দলের সর্বস্তরের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কাদের সিদ্দিকী। মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
গত ৩১ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নৈতিক সমর্থনের কথা জানান। তবে সরাসরি যোগ দিতে কয়েকটা দিন সময় চান। ওই দিন ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সম্মানে নিজের বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন বঙ্গবীর হিসেবে সুপরিচিত সাবেক এ আওয়ামী লীগ নেতা।
দীর্ঘ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকা কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৯ সালে দল ত্যাগ করেন। এরপর কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ নামের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি এবং নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এরই মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্যে আন্দোলন করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
সম্প্রতি এ জোট আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে সংলাপে অংশ নেন।
গত বৃহস্পতিবার গণভবনে সেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি করে, বিশেষ কোনো সমাধান হয়নি। আন্দোলন চলবে।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় সংলাপের জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।