প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও হুমকির অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভর আদালতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক বাহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী বাদীর জবানবন্দি নিয়ে নালিশি আবেদন গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
নালিশী ওই মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস ছাড়াও আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের দুই কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাজ এন্টারপ্রাইজ গ্রামীণ ব্যাংকের আশুলিয়ার জিরাবোর ঘোষবাগ এলাকায় বালু ভরাটের কাজ করে। বালু ভরাট বাবদ বাদী গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪ টাকা পাওনা হন। কিন্তু তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক বাহাদুল ইসলাম বালু ভরাটের টাকা চাইলে আসামিরা টাকা দিতে গড়িমসি করেন।
সর্বশেষ ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হলেও আসামিরা টাকা দিতে গড়িমসি করায় আদালতে এ নালিশি মামলা দায়ের করেন।