প্রথমার্ধ ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। যেন কোনরকমে ম্যাচের ফলটা হাতে থাকলেই হল। দ্বিতীয়ার্ধে চেহারা পাল্টে আগের ম্যাচের রূপে ফিরল বাংলাদেশ। খেলায় বাড়ল গতি। কিন্তু ফলটা এলো না। নেপালের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে না পারায় জেতা হয়নি। তবে কাঙ্ক্ষিত সিরিজ জয়ের ট্রফি হাতে উঠেছে জামাল ভুঁইয়াদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ের ফলে ১-০তে সিরিজ ঘরে রেখেছে স্বাগতিকরা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোচ জেমি ডের পরিবর্তে মঙ্গলবার বাংলাদেশের ডাগআউটে ছিলেন সহকারী স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। প্রথমার্ধে মনে রাখার মতো খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ডানপ্রান্ত ধরে প্রথম সাফল্য পেয়েছিল স্বাগতিকরা, সেই প্রান্তে এদিন কড়া পাহারার ব্যবস্থা রেখেছিলেন নেপালি কোচ বাল গোপাল মহারাজন। বামপ্রান্তেও বিশেষ কোনো সুবিধা আদায় করতে পারেননি মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ী আক্রমণভাগ খেলেছে দ্বিতীয় ম্যাচেও। নাবীব নেওয়াজ জীবনের উপরে মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে নামা সুমন রেজা। সুমন কিংবা আগের ম্যাচের গোলদাতা জীবনকে বেশ ভালোই বোতলবন্দি রেখেছিলেন নেপালি ডিফেন্ডাররা।
সুমন তবুও সুযোগ পেয়েছিলেন, ২৩ মিনিটে তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৩১ মিনিটে সেন্ট্রাল ডি-বক্সে সতীর্থের ক্রসকে গোলে রূপান্তর করতে পারেননি উত্তর বারিধারা স্ট্রাইকার।
সুমন রেজাকে উঠিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয় গত ম্যাচের গোলদাতা মাহাবুবুর রহমান সুফিলকে। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন সোহেল রানা ও বিপলু আহমেদও। আক্রমণভাগে একাধিক পরিবর্তনে খেলায় গতি বাড়ে স্বাগতিকদের।
গত ম্যাচের মতো এদিনও নেপাল রক্ষণে ত্রাস ছড়িয়েছেন সুফিল। একাধিকবার সুযোগ পেয়েছিলেন। নেপালি কড়া রক্ষণে এবার সুযোগকে গোলে রূপান্তর করা হয়নি বসুন্ধরা কিংস ফরোয়ার্ডের।
শেষ সময়ে ম্যাচের সেরা সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি নেপাল। সেটপিস থেকে নবযুগ শ্রেষ্ঠার হেড বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে ফাঁকি দিলেও প্রতিহত হয় বারে লেগে। কোনো গোল না হওয়ায় সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।