আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিরপরাধ ১০ জনের নিহতের কথা স্বীকার করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। হামলায় একই পরিবারের অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ছয় জনই শিশু।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগমুহূর্তে কাবুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা তখন বলছিলেন, একটি ড্রোন হামলা চালানোর মাধ্যমে কাবুল বিমাবন্দরে আরেকটি আত্মঘাতী হামলা ঠেকানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি সংবাদ সম্মেলনে বলেন: আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম আমাদের সেনাদের উপর গাড়িটি হামলা করতে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা দীর্ঘ আট ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করি। আট ঘণ্টা পর আমরা গাড়িটিতে হামলা করি। কিন্তু এখন আমরা বুঝেছি, আমাদের ধারণা ভুল ছিলো।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে দেখা গেছে ২৯ আগস্টে ওই মার্কিন ড্রোন হামলায় একজন ত্রাণ সহায়তা কর্মী ও তাঁর পরিবারের ৯ সদস্য প্রাণ হারান। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশুর নাম সুমাইয়া। তার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর দেশটির নাগরিকেরা দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হন। তাঁদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যখন ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যস্ত, তখন ওই বিমানবন্দর এলাকায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৭০ বেসামরিক নাগরিক ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হন। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা আইএস-কে (ইসলামিক স্টেট–খোরাসান) ওই হামলার দায় স্বীকার করে। ওই হামলার কয়েক দিন পর ওই ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে ২০ বছর যুদ্ধের সমাপ্তি টানার শেষ মুহূর্তে এটিই ছিল মার্কিন বাহিনীর শেষ হামলা।