ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রবার্তো কার্লোসের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি। তাদের একটি তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
এআরডির সেই তথ্যচিত্রটি মূলত বানানো হয়েছিল হুলিও সিজার আলভেজ নামের একজন চিকিৎসককে নিয়ে। খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ চিকিৎসা সেবা দিতেন বলে অভিযোগ ওঠায় গ্রেফতার হন সেই চিকিৎসক। আর এই সিজার আলভেজের অধীনেই ১৫ বছর বয়স থেকে চিকিৎসা নিতেন কার্লোস।
তাই এআরডির দাবি ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা উরু গঠনে ওই চিকিৎসকের অধীনে নিষিদ্ধ কোনও ড্রাগ ব্যবহার করে থাকলেও থাকতে পারেন।
এমন অভিযোগে ভীষণ খেপেছেন কার্লোস। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফেসবুকে জানিয়েছেন সব অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন।
‘আমি শক্তভাবে এ ধরনের ভিত্তিহীন গুজবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এআরডি আমার নামে যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছে তা অস্বীকার করছি। যে চিকিৎসকের কথা তারা বলছে সেই নামে আমি কোনও চিকিৎসককেই চিনি না। আমার ক্যারিয়ার জুড়ে আমি স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করেছি। আমার নমুনায় কখনো নিষিদ্ধ কিছু ধরা পড়েনি। খুব দ্রুতই আইনী ব্যবস্থা নেয়া শুরু করবো।’
তবে কার্লোস আলভেজকে না চেনার কথা বললেও এআরডির তথ্যচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। সাও পাওলোতে আলভেজের চিকিৎসালয় থেকে রবার্তো কার্লোসের চিকিৎসা নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। সেখান থেকে সেবা পাওয়া আরেকজন রোগী স্বাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি রবার্তো কার্লোসকে সেখানে আসা-যাওয়া করতে দেখতেন।