ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রিনল্যান্ড বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাননি!
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বিশাল এই দ্বীপ অঞ্চল কেনার বুদ্ধি সম্প্রতিই ট্রাম্পের মাথায় এসেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য এবং অঞ্চলটির ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে শোনার পর তিনি এর প্রতি আগ্রহী হন।
অবশ্য গত রোববারই ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনার জন্য এটা সবচেয়ে জরুরি বিষয়ের তালিকায় নেই। যুক্তরাষ্ট্র কিনতে চায়, এই আরকি।
স্বাভাবিকভাবেই ডেনমার্ক এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে জানায়, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রয়ের জন্য নহে’।
কেনাবেচার প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন ক্ষেপে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক টুইটবার্তায় ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে বৈঠক পেছানোর ঘোষণা দেন তিনি।
টুইটে ট্রাম্প বলেছেন:
‘ডেনমার্ক অসাধারণ জনগোষ্ঠীর খুবই বিশেষ একটি দেশ, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন গ্রিনল্যান্ডের বিক্রির বিষয়ে আলোচনায় অনাগ্রহ দেখিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে আমি দু’সপ্তাহ পর হতে যাওয়া আমাদের বৈঠকটি পরবর্তী কোনো সময়ের জন্য পিছিয়ে দিচ্ছি…’
Denmark is a very special country with incredible people, but based on Prime Minister Mette Frederiksen’s comments, that she would have no interest in discussing the purchase of Greenland, I will be postponing our meeting scheduled in two weeks for another time….
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) August 20, 2019
দ্বিতীয় একটি টুইটে কিছুটা ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প লিখেছেন: ‘…এভাবে সরাসরি কথা বলে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র এবং ডেনমার্ক দু’পক্ষেরই বিপুল পরিমাণ খরচ ও কষ্ট বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি তাকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে কোনো এক সময় বৈঠকের সময় নির্ধারণের অপেক্ষায় থাকছি!’
আগস্টের শেষ দিকে ডেনমার্ক এবং পোল্যান্ড সফরের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যাত্রা করার কথা ছিল।
ট্রাম্পের এই নিষ্ঠুর টুইটের ফলে ডেনমার্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্লা স্যান্ডসের টুইট একেবারে মাঠে মারা গেল। ট্রাম্পের ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই স্যান্ডস টুইটারে পোস্ট করেছিলেন: ‘ডেনমার্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের জন্য প্রস্তুত! সঙ্গী, সহযোগী, বন্ধু!’