ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যিনি তার অভিনয় দিয়ে শুধু ভারতেই নয়; সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
মঙ্গলবার কলকাতার নন্দনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানন সূচক ডি-লিট প্রদান করা হয়। এদিন ডি-লিট ও ডিএসডি দেওয়া হয় তাকে।
বাংলা ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা মাথায় রেখেই তাকে এই সম্মান জানানো হয়। ইতিমধ্যেই পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বাংলার এই অভিনেতা। কর্মজীবনে মোট তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বলেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের দিকে তাকালে বাঙালির শিক্ষা ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল ইতিহাস দেখা যায়। বাংলার নবজাগরণের প্রতীক এই বিশ্ববিদ্যালয়।
হিন্দু হোস্টেল চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। যার কারণে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে এখন উত্তপ্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সমাবর্তন সরিয়ে আনতে হয় নন্দনে।
আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না কোনো ছাত্র। এমনকি শহরে থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
তার অনুপস্থিতিতেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডিএসসি দেওয়া হয় ভারতরত্ন সিএনআর রাওকে।