চলতি আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ের শেষ ম্যাচের জন্য সব নাটকীয়তা তুলে রেখেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২১০ রানের পাহাড় টপকাতে শেষ বলের রোমাঞ্চে হেরে সেই নাটকের ইতি টানে কলকাতা। নাটকীয় ম্যাচে তাণ্ডব চালিয়ে ম্যাচের হাইলাইট আইপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪০ রান করা কুইন্টন ডি কক।
গ্রুপ পর্বের জয়ের বিকল্প নেই কলকাতার। জয় পেলেও হিসেব নিকেশের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে সমান ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তোলা দল মোস্তাফিজের দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর হারের। তবে হেরে সেই হিসেব আগেই সহজ করে দিয়েছে কলকাতা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আশা জাগিয়েও ২ রানের হার দেখে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল।
ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। দুই ওপেনারে ভর করে রানের পাহাড়ে চাপে লক্ষ্ণৌ। আইপিএলে ক্যারিয়ার সেরা ৭০ বলে ১৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডি কক। অতি মানবীয় ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি ছয় ও ১০টি চারের মারে। আইপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ও এটি। এর আগে ২০১৩ সালে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসটি দখল করে আছে প্রথম স্থান। এরপর অবস্থান ম্যাককালামে ২০০৮ সালে করা ১৫৮ রানের ইনিংস।
ডি ককের দিনে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫১ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনিও। দু-জনে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২১১ রানের লক্ষ ছুড়ে কলকাতাকে।
জবাবে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ঘুরে দাড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে জয়ের রেসে ছিল কলকাতাও। হারলেই বাদ এমন ম্যাচে ছেড়ে কথা বলেনি দলটি। নিতিশ রানার ২২ বলে ৪২ শ্রেয়াস আয়ারের ২৯ বলে ৫০ ও রিনকু সিংয়ের ১৫ বলে ঝড়ো ৪০ এ লড়াইয়ে ছিল দলটি।
শেষ দিকে ৭ বলে ২১ রান তুলা সুনিল নারিনও আশা জাগিয়েছিল। শেষ বলে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ রান। রানের তাড়ায় থাকা কলকাতার কাছে অসম্ভব ছিল না। নাটকীয় শেষ বলে উমেশ যাদবের উইকেট তুলে ম্যাচে ২ রানের জয় নিশ্চিত করে স্টয়নিস।
এ জয়ে ১৪ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে এখন লক্ষ্ণৌ। এক ম্যাচ কম খেলে ১০ জয়ে শীর্ষে অবস্থান গুজরাটের। সমান ১৩ ম্যাচে ১৬ ও ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চার নম্বরে আছে রাজস্থান ও দিল্লি।