‘ডিসমিসড’।
এই
একটি
শব্দেই
কামারুজ্জামানের রিভিউ
আবেদন
নাকচ
করে
দিয়েছিলেন আপিল
বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের ফাঁসির
দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতার
রিভিউ
আবেদন
নাকচ
হওয়ার
পর
থেকেই
অপেক্ষা শুরু
হয়
রায়ের
কপি
কারাগারে পৌঁছানোর। রায় লেখা
এবং
তা
প্রিন্ট করে
ট্রাইব্যুনাল হয়ে
কারাগারে পৌঁছাতে সময়
লাগে
প্রায়
৬০
ঘণ্টা।
সোমবার
সাকালে
প্রধান
বিচারপতির ‘ডিসমিসড’ বলার
সাথে
সাথে
শুরু
হয়
ফাঁসির
দড়িতে
ঝোলানের কাউন্ট
ডাউন।
এরপর
শুধু
আসে
অপেক্ষার পালা।
রায়
হওয়ার
পরদিন
মঙ্গলবার সকালে
শুরু
হয়
তা
লেখার
কাজ।
এরপর
শুধু
অপেক্ষা পর
অপেক্ষা; কখন
হবে
ফাঁসি?
মঙ্গলবার সারাদিন এই
হবে
সই;
এই
হলো
সই;
এমন
করে
অপেক্ষায় থাকে
সারাদেশের মানুষ।
কিন্ত
শেষ
পর্যন্ত সন্ধ্যা নাগাদ
রায়ের
খসড়া
যায়
প্রধান
বিচারপতির কাছে।
রাতেই
সেই
খসড়া
কপি
আবার
ফিরে
আসে
সুপ্রীম কোর্টে। আবার
আরেক
দিনের
অপেক্ষা।
বুধবার
সকাল
থেকে
শুরু
হয়
অপেক্ষার প্রহর।
সবশেষে
সংযোজন
বিয়োজন
শেষে
রেজিস্ট্রারের হাত
ঘুরে
নীল
কাগজে
প্রিন্ট হওয়া
রায়ের
কপিতে
দুপুরের পরপরই
প্রধান
বিচারপতি সই
করেন।
এরপর
তা
অন্য
বিচারপতিদের কাছে
পাঠান।
কিছু
সময়
পর
আপিল
বিভাগের অন্য
তিন
বিচারপতির সই
করেন।
রায়ের
কপি
যাবে
আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল–২
এ।
আবার
শুরু
হয়
অপেক্ষা। সেই
অপেক্ষা শেষ
হয়
বিকেল
৫টার
পর।
সুপ্রিম কোর্টের সহকারী
রেজিষ্ট্রার মোঃ
মেহেদী
হাসান
রায়ের
কপিটি
ট্রাইব্যুনালে নিয়ে
আসেন।
তার
কাছ
থেকে
ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার মোঃ
আফতাবুজ্জামান রায়ের
কপিটি
গ্রহণ
করেন।
সেখানে
আনুষ্ঠানিকতা শেষে
বিকেলে
রিভিউ
খারিজের রায়
ফ্যাক্স বার্তায় ৫টা
২৮
মিনিটে
পাঠানো
হয়
কেন্দ্রীয় কারাগারে।
৩৬
পৃষ্ঠার রায়ের
কপি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও
জেলা
ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও
পাঠায়
ট্রাইব্যুনাল। এর
মধ্যেই
অবশ্য
ফাঁসির
মঞ্চ
তৈরি
করে
রাখে
কারা
কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির
মহড়াও
দেয়া
হয়েছে
একাধিকবার। ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদদের পাশাপাশি কাশিমপুর, ময়মনসিংহ ও
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেও
জল্লাদদের আনা
হয়।
কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলাতে
প্রস্তুত আছে
২০
জন
জল্লাদ।
জামায়াত নেতা
কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল
রেখে
আপিল
বিভাগের দেওয়া
পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশ
হয়
গত
১৮
ফেব্রুয়ারি। আসামীপক্ষ ৫
মার্চ
রিভিউ
আবেদন
করার
পর
৯
মার্চ
শুনানির জন্য
রাখেন
আপিল
বিভাগ।
কিন্তু
আসামীপক্ষের সিনিয়র
আইনজীবী খন্দকার মাহবুব
হোসেন
আইনজীবী সমিতির
নির্বাচনে ব্যস্ত
থাকার
কারণ
দেখিয়ে
সময়
চাইলে
আপিল
বিভাগ
তা
মঞ্জুর
করেন।
গত
১৮
ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা
কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল
রেখে
আপিল
বিভাগের দেওয়া
পূর্ণাঙ্গ রায়
প্রকাশিত হয়
। ৫ মার্চ
রিভিউ
আবেদন
করেন
তিনি।
ওই
আবেদনের ওপর
৯
মার্চ
শুনানির দিন
নির্ধারিত থাকলেও
আসামিপক্ষের সিনিয়র
আইনজীবী খন্দকার মাহবুব
হোসেন
আইনজীবী সমিতির
নির্বাচনে ব্যস্ত
থাকায়
তা
পিছিয়ে
দেয়া
হয়।
১
এপ্রিল
আবারও
সময়
চায়
আসামিপক্ষ। বলা
হয়
মাহবুব
হোসেন
অসুস্থ।তবে এ
আবেদনকে ‘তামাশা’
উল্লেখ
করে
তার
সমালোচনা করেন
আপিল
বিভাগ।
এরপর
রিভিউ
আবেদনের শুনানি
৫
এপ্রিল
পর্যন্ত মুলতবি
করা
হয়।
দু’
পক্ষের
বক্তব্য শোনার
পর
সোমবার
(৬
এপ্রিল)
আদেশের
দিন
ঠিক
করেন
আপিল
বিভাগ
।