নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের ২১ সদস্যের কার্য্য নির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন এসেছে। সুপরিচিত দুই নির্মাতা এবার এ সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন। মাবরুর রশিদ বান্নাহ ও তপু খানকে ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আরেক নির্মাতা হাফিজুর রহমান সুরুজকে করা হয়েছে অর্থ সম্পাদক। এর আগে তিনি ছিলেন কার্য নির্বাহী কমিটিতে। নির্মাতা সাজ্জাদ সনির অকাল মৃত্যুতে অর্থ সম্পাদক পদটি খালি থাকায় সুরুজকে দেয়া হয়েছে অর্থ সম্পাদক পদ।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগরসহ কমিটির অন্যদের উপস্থিতিতে বান্নাহ, তপু খান ও হাফিজুর রহমান সুরুজকে শনিবার শপথ বাক্য পড়িয়ে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের নিয়মে শূন্য পদে তাদের যুক্ত করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাজ্জাদ সনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে তাকে এ পদে দেয়া হতো। কিন্তু না থাকায় কার্য নির্বাহী কমিটির হাফিজুর রহমান সুরুজকে সকলের সম্মতিতে অর্থ সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।
আর নির্বাহী কমিটির আবু হায়াত মাহমুদকে পরপর তিন মিটিং অনুপস্থিত থাকায় তাকে সরিয়ে তপু খানকে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ বলেন, সভাপতি লাভলু ভাইকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। তিনি জানিয়েছেন নির্বাহী কমিটির প্রত্যেকেই আমাকে কমিটিতে চেয়েছেন। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে পোস্ট চিন্তা না করে সবার প্রতি সম্মান জানিয়ে কমিটিতে যুক্ত হয়েছি। কাজ নিয়ে সবসময় ব্যস্ততা যায়। এর মধ্যে সংগঠনের জন্য আমার দিক থেকে যতটুকু ইনপুট দেয়ার অবশ্যই দেব।
এদিকে তপু খান জানান, তাকে আগেই ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তখন ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’র প্রিপ্রোডাকশনের কাজে মনোযোগী ছিলেন। এই ব্যস্ততায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হয়নি তার। এখন সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। অনুভব করছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সংগঠনে থেকে কাজ করা দরকার। সেজন্য যুক্ত হয়েছেন।
তপু খান বলেন, ডিরেক্টরস ডিল্ডের সঙ্গে আগে পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলাম। এবার প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়েছি। আশা করছি নির্মাতাদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সংগঠনটি আরও গতিশীল হবে।