গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। পরে মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের। এমনি একটি চক্রের দলনেতাসহ ৭ সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করা ব্যাক্তিরাই বড় ধরণের অপরাধে জড়িয়ে গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গত ২৮ আগষ্ট রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে এক মহিলা ও তার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যায় একটি অপহরণকারী চক্র। পরে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।
শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকেই ওই চক্রের দলনেতা জসিম উদ্দিন,তার সহযোগী নিপা বেগমসহ ৭ জনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা, পুলিশে হ্যান্ডকাফ, আইডি কার্ডসহ অপহরণ কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল।
র্যাব-২ এর সিও লেফট্যানান্ট কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানিয়েছেন, দলনেতা জসিম এর আগে ডিবি পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করেছে।
রাজধানী জুড়ে চেকপোস্ট জোরদার এবং কালো গ্লাস যুক্ত মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলে অপহরণকারী চক্রের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা।