নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে মন্তব্য করে জাতীয় আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নিতাই পদ দাস বলেছেন ইতোমধ্যেই আরকাইভসকে ডিজিটাল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার কি কি তথ্য উপাত্ত জাতীয় আরকাইভসে সংরক্ষিত রয়েছে জানতে চাইতে অধিদপ্তরটির পরিচালক নিতাই পদ দাস চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমাদের কাছে স্বাধীনতার সময়কার গণসংগ্রামের নানান গেজেট, বই পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও নথিপত্র সংরক্ষিত রয়েছে।
এছাড়াও দুলর্ভ ছবিসহ বেশ কিছু আলোকচিত্র আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত বিভিন্ন গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রামাণ্য দলিল সংরক্ষিত রয়েছে। এসব দলিলের মাধ্যমে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের আরকাইভসে দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাকের যুদ্ধকালীন কপিগুলো রয়েছে। এছাড়াও আমাদের গ্রন্থাগারে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সময়কার বেশ কিছু পত্রিকা ছাড়াও বিভিন্ন নথি ও দলিল রয়েছে।
নিতাই পদ দাস বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস কিছুদিন পূর্বেও শুধুমাত্র ধাতব নথিপত্র, ফিজিক্যাল নথিপত্র সংরক্ষণ করত। কিন্তু বর্তমানে সরকারের এমডিজি লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে ডিজিটাল আরকাইভস করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস ইতোমধ্যে সনাতনী নথিপত্র, পুরাতন নথিপত্র ডিজিটালাইজেশন করার কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের নভেম্বরে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরটি প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে অধিদপ্তরটির যুগ্ম সচিব বলেন: আমাদের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক সেমিনার করেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও স্বাধীনতার উত্তাল মার্চের দুলর্ভ আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত নানা বস্তুগত সাক্ষ্য, বই, নথিপত্র স্থান পায়।
অধিদপ্তরটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নিজস্ব আইন অনুমোদন করতে হবে, অন্যান্য আর্ন্তজাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অংশীদারিত্ব এবং ধারণা শেয়ার করতে হবে।
এছাড়াও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে বাৎসরিক প্রতিবেদন এবং জার্নাল নিয়মিত প্রকাশ করা, অনলাইনে ক্যাটালগ সেবা প্রদান করা।