ডিজিটাল ভোটিং মেশিনে (ডিভিএম) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এর আগে স্থানীয় সরকারের ছোট ও মাঝারি কিছু নির্বাচনে এ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে এ মেশিনের কার্যকারিতা যাচাই করে দেখতে চায় কমিশন।
রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে আমরা প্রস্তুতি নেব (ডিভিএম ব্যবহারের)। তবে তার আগে কিছু মাঝারি নির্বাচনে পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এর নির্ভুল ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘যন্ত্রটি এখনও আমাদের হাতে আসেনি। আগে সুপারিশসহ আমাদের পেতে হবে। তারপরে প্রথমে ছোট নির্বাচনে এটি প্রয়োগ করে সফলতা পেলে আমরা বড় ধরনের নির্বাচনে যেতে পারবো।’
এ ভোটিং মেশিন পরিকল্পনা ও সুপারিশ প্রণয়নে ইসির অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে যার উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
ওই কমিটিতে আরও আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপকবৃন্দ, আইসিটি ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
দুই মাসের মধ্যে এ কমিটির সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে এটি হাতে পাবো বলে আশা করছি।’
এ ভোটিং মেশিনের ব্যাপারে বিদায়ী সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন কুমিল্লায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমরা প্রযুক্তিগত উন্নতিতে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে এগুনো যাবে না। পূর্বে ইভিএম মেশিনে ভোট নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু এ মেশিনে কিছু দুর্বলতা ও সমস্যা ছিল। বর্তমানে আমরা চিন্তা করেছি ভোট গ্রহণে উন্নত মেশিন তৈরি করার, এটার নাম হবে ‘ডিজিটাল ভোটিং মেশিন’।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ এ মেশিনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি তুলে ধরে এর আগে বলেছিলেন,‘‘ডিভিএম হলো ইভিএমের উন্নত সংস্করণ। আগামী নির্বাচনগুলোতে ডিভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ ডিভিএমে কেউ জালভোট দিতে পারবেন না। একজন ভোটার আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন।