বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এবার তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে গেমিং। দেশীয় বিভিন্ন গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি বিভিন্ন গেম নিয়ে হাজির হয়েছে সম্মেলনে। এছাড়া গেমারদের জন্য রয়েছে আলাদা গেমিং জোন যেখানে একের পর এক চলছে গেমিং প্রতিযোগিতা। এছাড়া ২০২০ সালে অলিম্পিকে ইলেক্ট্রনিক গেম যুক্ত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের দল পাঠানোর প্রস্তুতির প্রেক্ষাপট তৈরির কাজ করছেন উদ্যোক্তারা।
সম্মেলনে অংশ নিয়েছে দেশী গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘মাইন্ডফিশার’। প্রতিষ্ঠানটি এখানে উপস্থাপন করেছে ‘মুক্তি ক্যাম্প’ নামে একটি স্ট্র্যাটেজিক শ্যুটার গেম।
গেমটি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির গেম ডিজাইনার আরিফুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ছোট ছোট ক্যাম্প তৈরি করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের ক্যাম্পের জন্য সৈন্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধ পরিচালনা প্রভৃতি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে গেমটি তৈরি করা হয়েছে।
আরিফুল জানান, গেমটির মোট ২০টি ধাপ থাকবে। সিঙ্গেল গেমার মোডের গেমটিতে গেমার খেলা শুরু করবেন পাকিস্তানি সৈন্য অধ্যুষিত এলাকায়। গেম খেলে তিনি সেই এলাকা দখল করে বাংলাদেশের পতাকা উড়াবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর গেমটি মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপর গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘টিম রিবুট’ নিয়েছে এসেছে ‘ব্যাটল রেজ’ নামের একটি গেম। একাধিক মোডের এই গেমটিতে থাকবে চ্যালেঞ্জিং সব টার্গেট। গেমটির আরও একটি দারুণ ফিচার হলো ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ করা যাবে। ১০টি ম্যাপের মাধ্যমে কয়েকটি দেশে গেমটি খেলা যাবে বিভিন্ন স্থানে। গেমারের জন্য বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং চরিত্রের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ব্যাটল রেজে।
সাধারণ গেমের পাশাপাশি ভিআর গেম নিয়েও অংশগ্রহণ ছিল মেলায়। ‘ড্রিমার্স ল্যাব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যালবাট্রস’ নামের একটি ভিআর গেম তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান খান জানান, আমরা গেমটিতে ভবিষ্যতের মানুষ বনাম অ্যালিয়েন যুদ্ধ তুলে ধরেছি। গেমটির বিশেষত্ব হলো গেমার এখানে একজন বাংলাদেশি হিসেবেই গেমে অংশ নিতে পারবেন। গেমটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। আগামী বছরের মাঝ বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে গেমটি মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রযুক্তি পন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিগাবাইটের সৌজন্যে রয়েছে গেমিং জোন। এখানে বিভিন্ন গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ১০টি দল এবং প্রায় ৩০০ জন স্বতন্ত্র গেমার। মোট ১০টি গেম নিয়ে ছিল আয়োজন। এর মধ্যে দেশীয় গেম ছিল ৬টি।
গেমিং জোন সম্পর্কে গিগাবাইটের কান্ট্রি ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ আনাস বলেন: ২০২০ অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক গেম। সেখানে বাংলাদেশ থেকে যেন গেমিং দল অংশ নিতে পারে, সে জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন ও পরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অলিম্পিকের প্রাথমিক ধারণা ও প্রস্তুতিও নিতে পারবে অনেকে।