ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদ, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ শুক্রবার রাজধানীতে বেসরকারি সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনে সাইবার অপরাধ বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্যারেন্টাইল গাইডেন্স এর মাধ্যমে শিশুদের ডিজিটাল অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।কিন্তু অভিভাবকদের এ স্ংক্রান্ত অজ্ঞতার কারণে তা প্রয়োগের হার খুবই কম।
তিনি বলেন, মোবাইল ছাড়া প্রাথমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর পাঠগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। শিশুটি অন লাইনে ক্লাস করা ছাড়া অন লাইনে কি করে অভিভাকদেরই তা মনিটরিং করা দরকার। দেশে ডিজিটাল শিক্ষা প্রবর্তনের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার অভিভাবকদের দায়িত্ব পালন যথাযথভাবে না হলে নতুন প্রজন্মকে সঠিক জীবন যাপনে সহায়তা করতে পারব না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লব অংশগ্রহণ না করেও কৃষিযুগ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশ করেছি এবং এর নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছি। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগে আজকের এই বিস্ময়কর অগ্রগতি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন সংক্রান্ত ধারনা ছিলনা উল্লেখ করে কম্পিউটার প্রযুক্তিবিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল অপরাধ অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স সোস্যাল মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতার অভাবে অনেকে বিপদগ্রস্থ হচ্ছেন। মন্ত্রী পাশ ওয়ার্ডসহ কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।তিনি ডিজিটাল অপরাধ দমনে পুলিশের ডিজিটাল অপরাধ টিমের দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়ায় এই অপরাধটি কেবল শহর কেন্দ্রিক নয় এটি সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। পুলিশকে তৃণমূল পর্যন্ত ডিজিটাল ইউনিট গঠন করা সময়ের দাবি।