সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করলে
সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সেই সাথে হাইকোর্টে মিজানকে পুলিশের হেফাজতে নিতে নির্দেশ দেন এবং ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালত ২৪ঘন্টার মধ্যে হাজির করতে বলেন।
মিজানের জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন: ‘উনি পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আদালতে মিজানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজউদ্দিন মেহেদী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ জুন মিজানুরের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। এরপর এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।
এদিকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। সর্বশেষ দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ লেনদেনের ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এরপর রাষ্ট্রপতির বরখাস্তের প্রস্তাব অনুমোদন দিলে মিজানুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।