মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলীর পরিবারকে শায়েস্তা করতে তার বাসায় ডাকাতির চেষ্টা ও হামলা হয়েছিল।
এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক গাড়ি চালক শেখ নাজমুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানা যায়।
নাজমুলের দাবি, গরিব হওয়ার কারণে ম্যাডামের (সারোয়ার আলীর স্ত্রী) দ্বারা সঠিক ব্যবহার পাচ্ছেন না। যে কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। এবং শায়েস্তা করতে গত ৫ জানুয়ারি রাতে উত্তরা ৭ নং সেক্টরে সারোয়ার আলী ও তার মেয়ের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনা মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- শেখ নাজমুল ইসলাম(৩০), শেখ রনি(২৫), মো. মনির হোসেন(২০), মো. ফয়সাল কবির(২৬) ও মো. ফরহাদ (১৮)। এদের মধ্যে ফরহাদকে ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়, বাকিদের ২২ জানুয়ারি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি আল আমিন মল্লিক ও নূর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির পিআইবি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নাজমুল হিন্দি সিনেমার ভক্ত। তিনি ভাবতেন, গরিব হওয়া তার অপরাধ না। গরিব হওয়ার কারণে ম্যাডামের দ্বারা সঠিক ব্যবহার পাচ্ছেন না। এই কারণে চাকরিটি ছেড়ে দেন। এবং মনে মনে পরিকল্পনা করেন, এর একটি প্রতিবাদ হওয়া দরকার।
এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিজেসহ সাতজনের একটি দল গঠন করে নাজমুল। তাদেরকে নিয়েই সারোয়ার আলীর বাসায় এই হামলা চালানো হয়।