ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি২০ বিশ্বকাপের শিরোপা
জিতে নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো
১৯ রান। প্রথম চার বলেই চার ছক্কায় দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট।
এটি চলতি বছরে ক্যারিবিয়ানদের তৃতীয় বিশ্ব শিরোপা। এর আগে রোববার মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং গত ফেব্রুয়ারিতে ছেলেদের ক্রিকেটে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় দেশটি।
এদিন স্যামুয়েলস ৬৬ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ব্র্যাথওয়েইট ১০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। ১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডজের। ১ রানেই ১ উইকেটের পর ১১ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রাভ এবং স্যামুয়েলসের ৭৫ রানের জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবিয়ানরা। ৮৬ রানে ব্রাভোর বিদায়ে আবারও বিপাকে পড়ে উইন্ডিজ শিবির।
২১ রানের মধ্যে ফিরে যান ব্রাভো, রাসেল এবং স্যামি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা স্যামুয়েলস দলকে টেনে নেন। শেষ পর্যন্ত কার্লোস ব্র্যাথওয়েইটকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
টসে হেরে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ইংলিশদের, ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জেসন
রয়কে বোল্ড করে ক্যারিবিয়ানদের সাফল্য এনে দেন স্যামুয়েল বদ্রি। স্কোর
বোর্ডে রান তখন শূন্য।
স্কোর বোর্ডে ৮ রান হতেই অ্যালেক্স হেলসও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। আন্দ্রে রাসেলের বলে বদ্রির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
পঞ্চম
ওভারে ইয়ন মরগানকে ফিরিয়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপ চেপে ধরেন স্যামুয়েল
বদ্রি। ফাস্ট স্লিপে ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। স্কোর বোর্ডে রান
তখন মাত্র ২৩।
রুট-বাটলার জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড।
তাদের জুটি থেকে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ৬১ রান। এরপরই সীমানার কাছে তুলে
মারতে গিয়ে ব্রাভোর তালুবন্দী হন বাটলার। কার্লোস ব্র্যাথওয়েইটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২২ বল থেকে ৩ ছক্কা এবং এক চারে করেন ৩৬ রান।
এরপরই,
রুট-স্ট্রোকস জুটিতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে ইংলিশরা। মাত্র ১৪ বল খেলে তুলে নেয়
২৬ রান। তবে ১২তম ওভারে স্ট্রোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের লাগাম টেনে ধরেন
ব্রাভো। ১ বল পরে মঈন আলী এবং ১১ রান বাদে এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা জো
রুটও প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে থমকে যায় ইংলিশদের রানের চাকা।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ১৫৫ রান।