টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৩ রান করে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছয় হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এক উইকেট নিয়ে ছুঁয়েছিলেন আড়াইশ রানের মাইলফলক। তাতে এই ফরম্যাটে অনন্য ডাবলের অভিজাত ক্লাবে এখন তিনি। তার আগে যে কীর্তি ছুঁয়েছেন কেবল তিনজন। টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সবার চেয়ে কম ম্যাচে কীর্তি ছুঁয়ে বাকিদের পেছনে ফেললেন।
সোমবার উইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব বেশি দেরি করেননি সাকিব। বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে ৬ হাজার থেকে ২৮৩ রান দূরে ছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক শতকে ব্যবধানটা নামিয়ে আনেন মাত্র ২৩ রানে। বৃষ্টি বাধায় শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পণ্ড হয়েছিল। তাই একটু অপেক্ষা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিনে নেমে ছয় হাজার ছুঁলেন ক্যারিয়ারের ২০২তম ওয়ানডেতে। এই ফরম্যাটে তার উইকেট ২৫৪টি, বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শীর্ষে অধিনায়ক মাশরাফী ২৬৬ উইকেট নিয়ে।
সাকিবের আগে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেছেন শহিদ আফ্রিদি, জ্যাক ক্যালিস ও সনাথ জয়সুরিয়া। পাকিস্তানি আফ্রিদির কীর্তি ছুঁতে লেগেছিল ২৯৪ ওয়ানডে। প্রোটিয়া ক্যালিসের লেগেছিল ২৯৬, আর লঙ্কান জয়সুরিয়ার ৩০৪ ম্যাচ। সাকিব সবাইকে পেছনে ফেললেন মাত্র ২০২ ম্যাচে এই অভিজাত ক্লাবে নাম লিখিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপ যেন হয়ে উঠেছে সাকিবের জন্য একের পর এক উপলক্ষ পূরণের মঞ্চ। প্রথম ম্যাচে এইডেন মার্করামের উইকেট নিয়ে পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে ছুঁয়েছেন ২৫০ উইকেট। এবার আড়াইশ উইকেট ও ছয় হাজার রানের ক্লাবে ঢুকলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন নিজের ২০০তম ওয়ানডে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংসটি তাকে দিয়েছে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাওয়ার মর্যাদা।