ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে আগামী ৭ মের অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা ‘রানঅফ’ ভোটে মারিন লা পেন এবং এম্যানুয়েল মাক্রোঁকে বর্জন করতে দেশবাসীর সহায়তা কামনা করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ।
তিনি বলেছেন, কট্টর ডানপস্থিদের বিজয় হলে দেশ বিপদগ্রস্থ হবে।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশী ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থী নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটকে ‘রানঅফ ভোট’ বলা হয়ে থাকে। আগামী ৭ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে যাতে লড়বেন কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন এবং ৩৯ বছর বয়সী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ।
প্রথম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর এম্যানুয়েল মাক্রোঁর জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে বিজয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। তার বিজয়কে অনেকে ফ্রান্সের ইতিহাসের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য থাকা এবং বিশ্বে অবস্থানসহ ফ্রান্সের বর্তমান ভাবমূর্তি হুমকির মুখে। সোমবার টিভিতে দেয়া তার এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট বোঝা গেল যে পেনকে হারাতে ম্যাঁক্রো ফ্রান্সের মূল ধারাকে পাশে পেয়েছে।
রোববারের নির্বাচনে প্রথম রাউন্ড ভোটের ফলাফলে সিডনিতে ৯৬% ভোট পড়ে। এর মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ পান ২৩.৯% এবং নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী মারিন লা পেন পান ২১.৪% ভোট।
জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেলের মুখপাত্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সামজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মুজবত করতে আগামী নিবার্চনের জন্য তাকে শুভ কামনা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিয়ান ক্লাউডে জাঙ্কার,ম্যাকোঁকে শুভ কামনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেন, এই ফলাফল আমাদের জন্য আশা এবং ভবিষৎ।
সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এম্যানুয়েল মাক্রোঁ (৩৯) তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল এন মার্চে (অগ্রযাত্রা) গঠন করেন গত বছর।নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা ছিল এই উদারনৈতিকের। তার রাজনৈতিক মেনিফেস্টোতে সমাজতন্ত্রের অনেক বিষয়ই দেখা যায়। আর এ ধরনের আদর্শের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া এম্যানুয়েল মাক্রোঁ দেশজুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন। রাজনৈতিক জীবনে এখনই তুমুল সাফল্যের মুখ দেখা নেতার ব্যক্তিজীবনও কিন্তু কম আকর্ষণীয় নয়।