সস্তায় ফুটবলার কিনে তাদের তারকা বানিয়ে চড়া দামে বিক্রি করায় খ্যাতি আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। এই যেমন দুবছর আগে রেডবুল সলজবুর্গ থেকে ২০ মিলিয়নে আর্লিং হালান্ডকে কিনে জার্মান ক্লাবটি এখন ম্যানসিটির কাছে বিক্রি করছে ৬০ মিলিয়নে। এমন অনেক তারকার নাড়ি টানলে ডর্টমুন্ডের নাম আসে। এক কথায় ডর্টমুন্ডকে ফুটবলার কেনা-বেচার হাট বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না।
এ মৌসুমে দলবদলের বাজার একাই গরম করে রেখেছিলেন ২১ বর্ষী নরওয়ে তারকা। জায়ান্ট ক্লাবগুলোর কাড়িকাড়ি অর্থের ভিড়ে শেষপর্যন্ত শৈশবের প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন হালান্ড। ২০২০ সালে সলজবুর্গ থেকে ডর্টমুন্ডে এসেছিলেন। এসে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ক্লাবগুলোর চাহিদার তালিকায় নিজেকে তুলেছেন শীর্ষ আসনে। আগামীদিনের তারকাকে তাই বাড়তি মূল্যে টানতে ভুল করেননি গার্দিওলা।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবামেয়াং, উসমানে ডেম্বেলে, জাডন সানচো, ইসাক ও রবার্ট লেভান্ডোভস্কির মতো তারকাদের শেকড় ডর্টমুন্ডে। বহু তারকার পুরনো ঠিকানাও জার্মান ক্লাবটি। দলবদলে আলোচিত সব ফুটবলার পরিবেশনই যাদের অন্যতম কাজ।
পোলিশ তারকা লেভান্ডোভস্কি ২০১০ সালে ৪.৭ মিলিয়নে লেক পজানান থেকে ডর্টমুন্ডে নাম লেখান। ২০১৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখে গিয়ে আলো ছড়িয়েছেন। ডেম্বেলের ব্যাপারও একইরকম। ২০১৬ সালে ৩৫ মিলিয়নে রেনেঁ থেকে ডর্টমুন্ডে আসার বছর না ঘুরতেই ১৪০ মিলিয়নে তাকে কিনে নেয় বার্সেলোনা।
২০১৩ সালে সেন্ট এতিয়েন থেকে ১৩ মিলিয়নে ডর্টমুন্ডে নাম লেখানো অবামেয়াং শেষপর্যন্ত আর্সেনালে যোগ দেয় ৬৩ মিলিয়নে। ইসহাক ও জাডন সানচোর বেলায়ও লাভের মুখ দেখেছে ডর্টমুন্ড। ৮ মিলিয়নে আনা সানচোকে বাকি ক্লাবগুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে ৮৫ মিলিয়নে টেনেছে সিটি।
মারিও গোটজে তো সবাইকেই ছাড়িয়ে গেছেন। ২০১৩ সালে ডর্টমুন্ডে এসে নজর কেড়ে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানদের তারকা ঠাসা দলে জায়গা করে নেন। ফাইনালে তার করা একমাত্র গোলেই আর্জেন্টিনাকে কাঁদতে হয়েছিল। পরে ৩৭ মিলিয়নে বায়ার্নে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।