বেড়েই চলেছে ট্রেন লাইনে মৃত্যুর মিছিল। কেবল জানুয়ারি মাসেই কমলাপুর রেলওয়ের থানায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ২৪ জন। আর এক বছরে এ সংখ্যা ৩’শ ছাড়িয়েছে। রেলওয়ে বলছে, সচেতনতার অভাব আর অননুমোদিত ক্রসিংয়ের কারণেই ঘটছে এমন সব দুর্ঘটনা।
সারাদেশের ২ হাজার ৮’শ ৭৭ কিলোমিটার রেলপথে অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং আছে ২ হাজার ৪শ ৯৪টি। আর অননুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা কারোরই জানা নেই। অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে আবার অনেক জায়গায় নেই গেইটম্যান। অন্যদিকে রেললাইনের ওপর দিয়ে হাটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কেউই।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, গত বছর আমাদের এ থানার ৩শ’৪৬টা মামলা হয়েছে। এ বছর হয়েছে ৩শ’টা। অর্থ্যাৎ ৪৬টা কম। তবে আমরা চাই জিরো ডিগ্রী টলারেন্স। কেউই যেন মারা না যায়।
দিন দিন বাড়ছে অননুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা। গত ১০ বছরে শুধু টঙ্গী স্টেশন থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত ৭টি অনুমোদিতে লেভেল ক্রসিয়ের বিপরীতে হয়েছে ৮৬টি। সারাদেশের এমন পরিস্থিতি তুলে মন্ত্রীর কাছে করণীয় জানতে চাইলে কৌশলেই দিলেন উত্তর।
রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক বলেন, দুর্ঘটনা কারোই কাম্য না, তবে আমাদের কোন কর্মকাণ্ডে যদি খুঁত থাকে তাহলে সেটা আমরা পূরণ করব যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রেলওয়েতে কোনো অননুমোদিত লেভেল ক্রসিং থাকবে না বলে নিশ্চিত করেছেন রেলমন্ত্রী। তবে সবার ওপর জনসচেতনতাকেই বড় করে দেখছেন তিনি।
রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক বলেন,যখন লেভেল ক্রসিং পুর্নবাসন প্রক্রিয়া বা মান উন্নয়ন করব এবং সঙ্গে সঙ্গে লোক নিয়োগ করব তখন দুর্ঘটনা কমে যাবে।
কারণ যাই হোক না কেন ট্রেন লাইনে মৃত্যুর মিছিল যাতে আর বড় না হয় এমনটাই প্রত্যাশা সবার।