প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটের দখলও পেয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেখানে তার প্রথম পোস্টই হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল বাতিল প্রসঙ্গে।
ওয়েবসাইটের হোমপেজে প্রকাশিত পোস্টটিতে ট্রাম্প ৬টি ‘ইস্যু’ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে প্রথমটিই হলো ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট এনার্জি প্ল্যান’। এর প্রথম প্রস্তাবনায় যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি খাতের জন্য “বোঝাস্বরূপ আইনসমূহ” থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে “ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান (জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা) ও ওয়াটার্স অব দ্য ইউএস রুল (যুক্তরাষ্ট্রের শাসনাধীন জলসীমা)-এর মতো ক্ষতিকর এবং অপ্রয়োজনীয় নীতিমালা” বাতিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮০ জন মার্কিন দূত ও কূটনীতিককে বহিষ্কার করার মতোই এই নীতিমালা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেও কোনো বিকল্প পরিকল্পনা ঠিক করেননি। তার যুক্তি, জলবায়ু ও শক্তি বিষয়ক এসব পরিকল্পনা বাতিল করলে দেশের পয়সা বাঁচবে আর আমেরিকাও নিরাপদ থাকবে।
২০১৩ সালের জুন মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। ওই কর্মপরিকল্পনাটি ছিল তিনটি অংশে বিভক্ত: যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন দূষণ কমানোর পরিকল্পনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মুখোমুখি হওয়ার জন্য দেশকে তৈরি করার পদক্ষেপ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাগুলোকে নেতৃত্ব দেয়ার পরিকল্পনা।
তবে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ট্রাম্পের পরিবেশ বিষয়ক দলিলাদিতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন বা বিশ্ব উষ্ণায়ন সম্পর্কে কোনো উল্লেখই নেই। শুধু এক জায়গায় বলা হয়েছে, “পরিবেশের দায়িত্বশীল দেখভাল”। কিন্তু সেটা দিয়েও শুধু পানি ও বাতাসকে পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে পা রাখার পরপরই হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটটি থেকে জলবায়ু, বিশ্ব উষ্ণায়ন জাতীয় সমস্ত লেখা ও শব্দের ব্যবহার থাকা পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে।