গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘নোংরা মন্তব্য’ করার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির ৩০০ মিডিয়া।
‘স্বাধীন প্রেস ক্যাম্পেইন’ নামের ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে এসব সংবাদমাধ্যম। বৃহস্পতিবার থেকে ক্যাম্পেইনটি শুরু হয়।
বিবিসি জানায়, প্রাথমিকভাবে ১০০ বড় সংবাদ মাধ্যম এ ক্যাম্পেইনে সাড়া দেয়। এর পাশাপাশি ছোট ছোট স্থানীয় গণমাধ্যমও সাড়া দেয়ায় সংখ্যাটি তিনশতে পৌঁছে যায়। আরো মিডিয়া এই প্রচারণায় আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে সংখ্যাটি তিনশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মার্কিন দৈনিক বোস্টন গ্লোব গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই ক্যাম্পেইনের আহ্বান জানায়। এরপর একের পর এক সংবাদমাধ্যম এর সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করে। ট্রাম্প গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ বলে আখ্যা দেয়ায় এর প্রতিবাদ স্বরূপ ‘এনিমি অব নান’ হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার শুরু থেকেই গণমাধ্যমের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে গেলেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া সংবাদ’ বলে টুইটারে তার তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেদেশের সংবাদকর্মীরা।
একে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘নোংরা যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন তারা। গণমাধ্যমের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সরাসরি সাংবাদিকদের সমালোচনা ও তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে যাবে। আর তাদের ওপর সহিংসতারও ঝুঁকি বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংবাদপত্রগুলো ছাড়াও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। বোস্টন গ্লোব ‘সংবাদপত্রের ওপর প্রশাসনের আক্রমণের বিপদ’ শীর্ষক একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে বৃহস্পতিবার।
বোস্টন গ্লোব লিখেছে, সাংবাদিকরা কারো শত্রু নয়। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকান মূলনীতিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের সম্পাদকীয়ের শিরোনাম করেছে- ‘এ ফ্রি প্রেস নিডস ইউ’। এতে ট্রাম্পের আক্রমণকে ‘গণতন্ত্রের প্রাণশক্তির জন্য বিপজ্জনক’ হিসেবে বর্ণনা করে তার বহু বক্তব্য থেকে বিভিন্ন উক্তি তুলে ধরা হয়েছে।