যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালানো জনগণকে নিজ দেশে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ইরাক, সিরিয়াসহ মোট ৭টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো শরণার্থীর অনুপ্রবেশ ৯০ দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে শনিবার কঠোর অভিবাসন নীতির নির্বাহী আদেশে সই করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি শরণার্থী নথিকরণ কার্যক্রম ১২০ দিনের জন্যও প্রত্যাহার করেন।
এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে শনিবারই টুইটারে ট্রুডো বলেন, “যারা নির্যাতন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধ থেকে পালিয়ে ফিরছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, কানাডীয়রা আপনাদের স্বাগত জানাবে, আপনারা যে ধর্মবিশ্বাসেরই হোন। বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি। #কানাডায়স্বাগতম।”
দ্বিতীয় টুইটটি ট্রুডো পোস্ট করেন যখন ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে জোর বিক্ষোভ ও বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা চলছে। টুইটে ২০১৫ সালের একটি ছবি পোস্ট করা হয়, যেখানে ট্রুডোকে কানাডার বিমানবন্দরে এক সিরীয় শরণার্থীকে স্বাগত জানাতে দেখা যায়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, কানাডার পাসপোর্টধারী কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত ওই ৭ দেশের দ্বৈত নাগরিকত্বধারীও হন, তারা ওই নিষেধাজ্ঞার অধীনে পড়বেন না।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও এক স্ট্যাটাসে জাস্টিন ট্রুডো একই কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ এবং পরিবহন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে কানাডা সরকার এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
যদিও কানাডিয়ান এয়ারলাইনস বলেছে যুক্তরাষ্ট্রে ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে অভিবাসী বা ভ্রমণকারী প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানতে তারা আমেরিকাগামী যাত্রীদের ফেরত নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ওয়েস্টজেট এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ট্রাম্পের আদেশ অনুসারে তারা শনিবার যুক্তরাষ্ট্রগামী এক যাত্রীকে ফেরত নিয়ে গেছে। কিন্তু ওই যাত্রী কোন দেশের ছিলেন তা জানানো হয়নি। এ ধরণের ঘটনায় পড়া যাত্রীদের যাত্রার পুরো খরচ ওয়েস্টজেট এয়ারলাইনস ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির মুখপাত্র লরেন স্টুয়ার্ট।