এক সপ্তাহ হল অভিবাসী নীতিতে বদল এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এরমধ্যেই ভিসা বাতিলের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আলেকজান্দ্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে এ তথ্য জানান সরকারি আইনজীবী সাইমন স্যান্ডোভাল মোশেনবার্গ।
ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহের মধ্যে, গত ২৭ জানুয়ারি সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইরান, সুদান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন—এই সাতটি দেশ থেকে আসা মানুষের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থী প্রবেশও আগামী ১২০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারেক ও আম্মার আকিল মোহাম্মদ আজিজ নামের দুই ভাই। কিন্তু গত শনিবার ওয়াশিংটনের ডালাস বিমানবন্দরে নামতেই তাদের পথ আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। বৈধ কাগজপত্র ও ভিসা থাকা সত্ত্বেও আমেরিকায় পা রাখতে দেয়া হয়নি। বরং দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে আটকে রাখার পর জোর করে ইথিওপিয়াগামী বিমানে চড়ে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
শুক্রবার তাদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সাইমন স্যান্ডোভাল মোশেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে ১ লাখের বেশি ভিসা বাতিল হয়েছে। সংখ্যাটা মনে করলেই দম আটকে আসছে।’
বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও ঠিক কতজনকে ডালাস বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি সরকারি আইনজীবী এরিজ রোভেনি। তবে যাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার বৈধ প্রমাণপত্র ছিল, তাদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু তারেক এবং তার ভাইয়ের মতো আরও অনেকেই অভিযোগ দায়ের করায় এখন মার্কিন প্রশাসন নাকি সমঝোতায় আসতে চাইছে। মামলা তুলে নিলে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে বলে তাদের সঙ্গে রফা করতে চাইছে।
ভার্জিনিয়ার আইনজীবী জেনারেল স্টুয়ার্ট রাফায়েল অবশ্য এই রফার প্রস্তাব যথেষ্ট বলে মনে করছেন না। তার মতে, ‘ঠিক কতজনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার জেরে, লিবিয়া থেকে আসা জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র এখনও তুরস্কে আটকে রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে জর্জিয়া প্রশাসন। সরকার ফেরত পাঠানো মানুষদের পরিচয় প্রকাশ না করলে, তাদের প্রত্যেককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিনা জানব কী করে?’