ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র আরো ‘গুরুতর’ অবরোধ আরোপ করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, তেহরানের নেতৃত্ব তাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা পর্যন্ত তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।
‘আমরা আগের অবরোধগুলোর বাইরে আরও কিছু অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেক দ্রুতই এগোচ্ছি,’ সাংবাদিকদের জানান ট্রাম্প।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুসারে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম দেশটির মজুদ রাখার কথা, তা আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত সীমা ছাড়াতে যাচ্ছে, গত সোমবার ইরানের এ ঘোষণার জবাবে নতুন অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরান ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে মাইন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ওমান উপসাগর হরমুজ প্রণালির ঠিক বাইরেই অবস্থিত। অবশ্য ইরানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট।
আর এরই প্রতিবাদ হিসেবে ইউরেনিয়ামের মজুদ সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দেয় তেহরান।
গত বছর একপাক্ষিকভাবে এই চুক্তি থেকে সরে এসে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারই জবাবে ইরান তার ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো হুমকির দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, সীমান্তে আমেরিকার কোনো আগ্রাসী তৎপরতা মেনে নেয়া হবে না।
ইরানকে সর্তক করে ট্রাম্পের দেয়া বিবৃতির পাল্টা জবাবে ইরানের মুখপাত্র জানান, ‘সীমা লঙ্ঘন করা হলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করব। সেখানে হুমকি থাকুক আর না-ই থাকুক।’
এর আগে এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো রকম যুদ্ধ চায় না। কিন্তু ইরান যদি তাদের অবস্থান থেকে না সরে আসে তাহলে ধংসের মুখে পড়বে।
সংকট সমাধানে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আলোচনায় বসলেও তারা ইরানকে আর কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার ফোনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।