নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সামনে আসা এক অডিও রেকর্ডের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার আইনজীবী মাইকেল কোহেনের কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
সিএনএনে প্রকাশিত সেই অডিও টেপ থেকে জানা যায়, সেখানে কিভাবে প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগালের লেখা গল্পের সত্ত্বাধিকার কিনে নেওয়া যায় সেই আলোচনা করছিলেন তারা। সেই গল্পে ট্রাম্পের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
রেকর্ডটি দিয়ে মূলত ট্রাম্প ও কোহেনের ভেতরের গোপন বৈঠকের কিছু ঝলক সাধারণ জনগণকে দেখাতে চায় সিএনএন। ম্যাকডোগালের গল্পে কয়েক দশক আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা উঠে এসেছিল। সেসব তথ্য ওভাল অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তা পুরোপুরিই জানতো।
কোহেন ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন একটি কোম্পানি স্থাপন করার ও অর্থায়ন করার জন্য। সেই কোম্পানি যারা আমেরিকান গণমাধ্যমে জাতীয় অনুসন্ধান প্রকাশ করে তাদের সত্ত্ব কিনে নেওয়ার কাজ করবে।
বাকবিতণ্ডায় পরিপূর্ণ রেকর্ডিংটি শুনে মনে হবে সেটা একটা নিয়মিত ব্যবসায়ী আলোচনার অংশ যেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথোপকথন হচ্ছে। তবে সেখানে ট্রাম্পের ব্যবহৃত ‘অর্থ’ শব্দটি দুই দিক থেকেই বিতর্কিত হয়েছে।
কোহেন তার রেকর্ডিংয়ে বলেন, আমেরিকান মিডিয়ার প্রধান ডেভিড পেকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের একটি কোম্পানি খুলতে হবে আমাদের বন্ধু ডেভিড সংক্রান্ত এসব তথ্য সেখানে দেওয়ার জন্য।
এরপর এই আলোচনায় আরেকবার অর্থের বিষয় আসলে, ট্রাম্প কোহেনকে থামিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘কিসের অর্থায়ন?’ কোহেন যখন ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমাদের পারিশ্রমিক দিতে হবে?’ ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়- ‘টাকা দিয়ে’। এরপরই সেখানে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, এরপর রেকর্ডিংয়ে আর শোনা যায়নি টাকা প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হয় নাকি না দেওয়ার। কোহেন বলেন, ‘না না’। তারপরে তিনি কি বলেছেন তা আর শোনা যায়নি।
এই অডিও রেকর্ড সেই গল্পেরে সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যেটার জন্য ২০১৬ সালের অগাস্টে ম্যাকডোগালকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্পের কি আমেরিকার গণমাধ্যমের গল্পের স্বত্ত্বাধিকার কেনা উচিত? সেই গল্পে উঠে এসেছে ট্রাম্পের সঙ্গে ১০ মাসের অবৈধ সম্পর্কের কথা। তবে সেটা কখনো প্রকাশিত হয়নি।
এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এএমআইয়ের কর্মকর্তারা। ম্যাকডোগালকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প ও কোহেনের আলোচনার পাশাপাশি সেখানে আরো কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়।