মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ট্রাম্পবিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত নিশ্চিত হওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় বিক্ষোভ। ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। এমনকি হোয়াইট হাউসের সামনেও ট্রাম্পবিরোধী জনগণ বিক্ষোভ করেছে।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, ওকল্যান্ড, বার্কলি এবং অরিগনসহ ৭টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করে ট্রাম্পবিরোধীরা। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে থেকেই চলে বিক্ষোভ। সে সময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে। বন্ধ করে দেয় স্থানীয় রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরও করেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পবিরোধী মিছিল হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করে। ওই সময় ট্রাম্পের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রাস্তায় ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানো হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে ওয়েস্ট কোস্টে। রাস্তায় আগুন ধরিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। ওই সময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্যালিফোর্নিয়া আর অরিগনের বিক্ষোভ উত্তাল হয়েছে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান আর মিছিলে। ট্রাম্পকে ফ্যাসিবাদী, বিদ্বেষী, বর্ণবাদী আখ্যা দেয় বিক্ষোভকারীরা। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার তিনটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভগুলোতে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রতিবাদ হয়েছে স্যান হোসে ইউনিভার্সিটিতেও। লস অ্যাঞ্জেলেস ও স্যান ডিয়েগোতে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
নিউইয়র্কে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ট্রাম্পবিরোধীরা। হিলটন হোটেলে ট্রাম্পের জয়ের উৎসবের সময় এ সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে সিয়াটল এবং পোর্টল্যান্ডেও। প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ট্রাম্পবিরোধী মিছিল করেছে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা।