কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত আরো ২ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ নিয়ে ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনের।
রোববার রাত এবং সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ ও পশ্চিম পাড়া সংলগ্ন সাগর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক।
তবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও তাদের আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর বলে জানান তিনি।
এর আগে ট্রলার ডুবির ঘটনার দিন ১৫ জনসহ পরে কয়েকদিনে আরো ২ জনসহ মোট ১৮ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।
মঙ্গলবার ভোর রাতে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগরে মালয়েশিয়াগামী ১৩৮ জন রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে কোস্টগার্ডসহ নৌ-বাহিনী ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ১৫ জনের মৃতদেহ এবং জীবিত অবস্থায় ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার ভোর রাতে সেন্টমমার্টিনের নিকটবর্তী সাগর থেকে মুর্মূষাবস্থায় আরো ১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
ঘটনায় আরো ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৪৪ জন।
লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক বলেন, সোমবার সকালে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাড়া সংলগ্ন সাগরে ২ টি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরে সেখানে পৌঁছে কোস্টগার্ড ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এছাড়া রোববার রাতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ সংলগ্ন সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় আরো ১ জনের মুতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলো ফুলে ফেঁপে গিয়ে শরীর থেকে চামড়া উঠে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ এগুলো।
এ নিয়ে সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার এবং ঘটনায় অন্তত ৪৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের এ স্টেশন কর্মকর্তা।
নাঈম-উল হক জানান, মৃতদেহগুলো টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করার জন্য সেন্টমার্টিন থেকে পাঠনো হয়েছে।