ভারতের জামশেদপুরে আগামী ১৫ থেকে ২৫ মার্চ বসবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। তিন দেশের টুর্নামেন্টটিতে খেলবে বাংলাদেশ। গত আসরে ৬ দল খেললেও এবার বাংলাদেশ, স্বাগতিক ভারত ও নেপালই কেবল নামবে।
প্রতিটি দল একে অন্যের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। চার ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দল চ্যাম্পিয়ন হবে। একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে হেড টু হেড বিচার করা হবে।
উদ্বোধনী দিনে ভারতের মুখোমুখি হবে নেপাল। এরপর ১৭ মার্চ প্রথম ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নেপাল। ১৯ মার্চ ভারতের সঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে গোলাম রব্বানী ছোটনের মেয়েরা। ফিরতি পর্বের খেলায় ২১ মার্চ লড়বে ভারত ও নেপাল। ২৩ মার্চ নেপাল ও ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের কন্যারা।
টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়। ওই সময় জামশেদপুরের তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেজন্য আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সকাল ১১টায় বাংলাদেশ দল তিনটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে।
গত ডিসেম্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের ১০ জন খেলোয়াড় নেই। মূলত বয়স পেরিয়ে যাওয়াতেই তাদের দলে থাকার সুযোগ ছিল না। দলে ঠাই পাওয়া পাঁচ ফুটবলার বয়সভিত্তিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। বাঘিনীদের অধিনায়কত্ব করবেন শামসুন্নাহার। সহ-অধিনায়ক অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য দুইমাস ধরে অনুশীলনের সময় পেয়েছি। শারীরিক, মানসিক, ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিক্যালি সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। তিনটি দলই সমশক্তির। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সবাই নিজের সেরাটা দিয়ে ভালো ফলাফলই করবে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনেকে না থাকলেও দলটিকে নতুন মানতে নারাজ অধিনায়ক শামসুন্নাহার। আশাবাদী কণ্ঠে বললেন, ‘দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমরা একদম নতুন নই। আমি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক ছিলাম। সেই দলের অনেকে আছে। আমরা ট্রফি আনতেই যাব।’
দেশ ছাড়ার আগে টার্ফের মাঠে অনুশীলন ম্যাচ খেললেও ভারতে ঘাসের মাঠে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। এমন হলে প্রস্তুতি আসলে কতটা ভালো হল? গোলাম রব্বানী ছোটন জানালেন, ভারতে গিয়ে দল অনুশীলন করবে, প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। তাতে ভালো প্রস্তুতি সেরে নেয়া যাবে।
১২ মার্চ ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। দেশ ছাড়ার আগে দলের সব ফুটবলার দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।