চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি খাবার তৈরি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ

ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরির সকল কারখানা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে যারা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বিবাদী পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলশ প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

আজকের আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরির কারখানা বন্ধে ২০১১ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৫ মার্চ একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আদালতের রায় উপেক্ষা; ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি থেমে নেই’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রোববার এক সম্পূরক আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ আদালত রুল সহ আদেশ দিলেন।’

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ‘‘২০১৬ সালে এ সংক্রান্ত রায়ের পর হাজারীবাগে পোল্ট্রি খাবার তৈরির সব কারখানা র‌্যাব দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আবার সাভারে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি শুরু হয়েছে। যদিও হাজারীবাগে পোল্ট্রি খাবার তৈরির সব কারখানা বন্ধের নির্দেশের রায়ে শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ ছিল সব কারখানা বন্ধ করার।

যেহেতু সাভারে আবার মৎস ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি করা হচ্ছে তাই বিবাদি ওই পাচ সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে আজ রুল জারি করা হয়েছে। এবং আগামী ৯ মে’র মধ্যে এদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’’