পিএসজির আক্রমণভাগে লিওনেল মেসি না থাকলেও ছিলেন নেইমার ও কাইলিয়ান এমবাপে। গোলে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু মোনাকোর গোলরক্ষক আলেকজান্ডার নুবেলের দুর্দান্ত সব সেইভে ভেস্তে গেছে সব। বিপরীতে টেবিলের নয় নম্বরের দলটির কাছে গুড়িয়ে গেছে টেবিলের শীর্ষ দলটি।
রোববার ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে পিএসজিকে ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোনাকো। স্বাগতিকদের পক্ষে জোড়া গোল করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড উইসাম বেন ইয়েদার। অন্যগোলটি করেছেন জার্মান ফরোয়ার্ড কেভিন ভোলান্ড।
নিজেদের মাঠে এদিন দাপুটে ফুটবল খেলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে মোনাকো। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণের পসরা সাজিয়েছিল দলটি। তারকাসমৃদ্ধ পিএসজির সমান ১৩টি শটও রেখেছিল গোলে, যার লক্ষ্যে ছিল আটটি। বিপরীতে প্যারিসের ক্লাবটির নেয়া শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।
আসরে শেষ পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় ম্যাচ হারল পিএসজি। তবে হারলেও ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকল মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রেনেসের (৫২) থেকে তাদের ব্যবধান পনের পয়েন্টের। ২৯ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে মোনাকো।
মেসি না থাকার ম্যাচে নিজেকে হাঁরিয়ে খুঁজছিল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ছন্দে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপেও পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। পিএসজি যা আক্রমণ সাজিয়ে তা কখনও মোনাকোর দুর্দান্ত রক্ষণ না হলে দলটির জার্মান গোলরক্ষক আলেকজান্ডার নুবেলে ঠেকিয়েছেন দুর্দান্ত প্রত্যয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ওঠে মোনাকো। আধিপত্য বিস্তার করা দলটি প্রথম ১০ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। চাপ ধরে রেখে ২৫তম মিনিটে উইসাম বেন ইয়েদারের গোলে এগিয়ে যায় মোনাকো।
বিরতির আগে দারুণ কিছু শট ঠেকিয়ে দেন মোনাকো গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধ্বের ৬২ মিনিটে লিড বাড়ায় স্বাগতিকরা। সতীর্থ রাইট-ব্যাক রুবেনের পাস পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জার্মান ফরোয়ার্ড কেভিন ভোলান্ড।
৮৪ মিনিটে টেবিলের শীর্ষ দলটিকে লড়াইয়ে ফেরার আশা গুঁড়িয়ে দেন প্রেসনেল কিম্বাপে। ডি-বক্সে ভোলান্ডকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সফল স্পট কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন জয় নিশ্চিত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড উইসাম বেন ইয়েদার।