বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গেছে সাউথ আফ্রিকা। শুক্রবার প্রোটিয়াদের লড়াইটা শুধু সম্মানের। কিন্তু বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে মাঠে নেমে সাউথ আফ্রিকার সামনে ২০৪ রানের টার্গেট রাখল শ্রীলঙ্কা।
আগের ম্যাচে আয়োজক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে চমক দিয়েছে লঙ্কাবাহিনী। কিন্তু এদিন ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে পারল না শ্রীলঙ্কা। প্রোটিয়া পেসারদের বিরুদ্ধে মাত্র ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিস। ম্যাচের প্রথম বলেই লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নকে ড্রেসিংরুমের রাস্তা দেখিয়ে প্রোটিয়াদের স্বপ্নের শুরু দেন কাগিসো রাবাদা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কাবাহিনী। শ্রীলঙ্কা ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর ৩০। কুশল পেরেরা ও আভিষ্কা ফার্নান্দেজ দু’জনেই ৩০ রান করে করেন। এ দুজন ছাড়াও ধনঞ্জয় ডি সিলভা ২৪ ও কুলশ মেন্ডিস ২৩ রান করেন।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে ক্রিস মরিস ও প্রিটোরিয়াস তিনটি করে উইকেট নেন। রাবাদা নেন এক উইকেট।
মাঠে স্বাভাবিকভাবেই চলছিল খেলা। কিন্তু হঠাতই বোলার-ব্যাটসম্যান ও অন্য ফিল্ডারদের সঙ্গে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লেন আম্পায়াররাও। গ্যালারিতে বসে যারা খেলা দেখছিলেন তারা প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। পরে দেখা যায়, এক ঝাঁক মৌমাছির আক্রমণেই মাঠের মধ্য ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সবার।
ম্যাচের ৪৮তম ওভারে ঘটে এই অবস্থা। মৌমাছির আক্রমণের পর খেলা কয়েক মিনিট বন্ধ থাকে। পরে অবশ্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইনিংস শেষ হয়।
ক্রিকেট মাঠে মৌমাছির হানা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে জোহান্সবার্গে সাউথ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মধ্যই চলা এক ম্যাচে আচমকাই মাঠে হানা দেয় হাজার হাজার মৌমাছি। তখনো খেলোয়াড়-আম্পায়াররা মাটিতে লুটিয়ে নিজেদের রক্ষা করেছিলেন।
সেসময় খেলা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরে মাঠ কর্মীরা পুরো মাঠে স্প্রে ছড়িয়ে দিলে চলে যায় সব মৌমাছি।
২০১৭ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান কাপ চলার সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল।