কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই ৩ জন ডাকাত দলের সদস্য ছিল। এ ঘটনায় ৪ কর্মকর্তাসহ পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হল, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার ভোলাইয়া বৈদ্যের ছেলে ছৈয়দ আলম (৪০) ও নুরুল আলম (৩৫) এবং একই এলাকার সব্বির আহমদের ছেলে ছৈয়দ হোসেন (৪২)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি এবং সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতির অভিযোগে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি প্রদীপ বলেন, ভোর রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকা সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে একদল সশস্র ডাকাতদল অবস্থান করছে৷ খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা অতর্কিত গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।
বেশকিছু উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে পাওয়া যায় ৫৫ হাজার ইয়াবা, ১৮ টি দেশিয় তৈরী বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০০ টি গুলি। ”
ওসি বলেন, গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।সেখানে আনা হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রদীপ জানান, নিহতদের মধ্যে ২ জন সহোদর। নিহতরা ৩ জনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি এবং সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।