কক্সবাজার টেকনাফের মহেশখালিয়া পাড়া এলাকা থেকে রোকেয়া বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরের দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ খবর পেয়ে মহেশখালীয়া পাড়ার আজিজের বসতঘর থেকে এই লাশ উদ্ধার করে। সে একই এলাকার আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ও হ্নীলা রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মমতাজের মেয়ে। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজন দাবী করেন।
এ ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ সবাই পলাতক রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদশর্ক (অপারেশন) খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবী, মোহাম্মদ আজিজ টেকনাফ থেকে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীর সাথে সংসারের মিল না হওয়ায় তাকে তাড়িয়ে দিয়ে রোকেয়াকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৬ বছরের মোহাম্মদ হোছাইন নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু আজিজের মা-বাবা রোকেয়াকে অপছন্দ করত। তাছাড়া সংসারের অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও কলহ লেগেই থাকতো।
গত ৩ মাস পূর্বে রোকেয়াকে মেরে রক্তাক্ত করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। পরে সমঝোতার মাধ্যমে রোকেয়াকে স্বামী ঘরে ফেরত নিয়ে যায়।