রবিঠাকুরের একটি উক্তি লেবানিজ লেখক ও কবি কহলিল জিবরানের নামে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচনা ও হাসিঠাট্টার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বুধবার ইমরান তার অফিশিয়াল টুইটার পেজে অনুপ্রেরণামূলক উক্তিসহ একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে ইংরেজিতে লেখা উক্তিটির অর্থ করলে দাঁড়ায়: ‘আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলাম জীবন আনন্দময়। আমি জেগে উঠে দেখলাম জীবন কর্মময়। আমি কাজ করলাম এবং দেখলাম কাজেই আনন্দ।’ (I slept and I dreamed that life is all joy. I woke and I saw that life is all service. I served and I saw that service is joy.)
উক্তিটির নিচে ‘কহলিল জিবরান (১৮৮৩-১৯৩১)’ লেখা। ছবিটির ক্যাপশনে আবার ইমরান লিখেছেন: ‘যারা জিবরানের নিচে উল্লিখিত কথাটির জ্ঞান আবিষ্কার ও উপলব্ধি করতে পারে, তারাই পারে তৃপ্তি নিয়ে বাঁচতে।’
কিন্তু বাস্তবে উক্তিটি নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উক্তির সামান্য পরিবর্তিত রূপ। মূল উক্তিটি হলো: ‘I slept and dreamt that life was joy. I awoke and saw that life was service. I acted and behold, service was joy.’
এই ভুল পোস্টের পর থেকেই চলছে ইমরান খানকে নিয়ে ট্রল। কেউ মেনেই নিতে পারছে না একজন প্রধানমন্ত্রী এমনটা করতে পারেন। টুইটার জগতে এ যেন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
পাকিস্তানি সাংবাদিক আজহার আব্বাস এই টুইটের জবাবে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আমার মনে হয় এগুলো রবিঠাকুরের কথা।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘উনি কি আসলেই একজন প্রধানমন্ত্রী, উক্তিসহ দর্শন টুইট করার আগে যাচাই পর্যন্ত করে দেখেননি।’
টুইটার ব্যবহারকারী মনোজ আগরওয়াল লিখেছেন, ‘উক্তিটা সুন্দর। কিন্তু এগুলো শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।’
আবার আরেক ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘খান সাহেব, এটি ঠাকুরের উক্তি। আপনার সত্যিই একটি শিক্ষিত এবং ওয়াকিবহাল সোশ্যাল মিডিয়া টিম দরকার।’
Those who discover and get to understand the wisdom of Gibran’s words, cited below, get to live a life of contentment. pic.twitter.com/BdmIdqGxeL
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) June 19, 2019
চলতি মাসের শুরুতেও ইমরান খানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল, যখন তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক সামিটে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে কথা বলার সময় বাদশাহর উদ্দেশ্যে কথা বলে অনুবাদকারী কথাগুলো অনুবাদ করার আগেই বাদশাহকে একা ফেলে উঠে চলে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনার ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছিল এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে।