দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। নিজেদের কাজটা কঠিন হয়ে গেছে টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট শুরু করায়। তবে এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে সেজন্য এই ম্যাচটা জিততেই হবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডেতে ৩৫ রানে অলআউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওডিআইতে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড সেটি। তার আগে ৮ ডিসেম্বর ২০০১ সালে এই জিম্বাবুয়েকেই ৩৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। তবে মজার বিষয়, ২১ জানুয়ারি ২০১৮তে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আন্ডারডগ হয়ে মাঠে শ্রীলঙ্কা।
এই ম্যাচে আগের ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখায় জিম্বাবুয়ে দলে কোন পরিবর্তন নেই। তবে শ্রীলঙ্কা দলে একটি পরিবর্তন আছে। ভানিডু হাসারাঙ্গার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন লক্ষ্মণ সান্দাকান।
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দেখায় সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কানরা। হেরেছিল ১২ রানে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি হাথুরুসিংহের দল। টাইগাররা ৩২০ রানের সংগ্রহ গড়ে ১৬৩ রানে নিজেদের রেকর্ড জয় তুলে নেয়।
লঙ্কানদের টানা দুই হারে কোন পয়েন্ট অর্জন সম্ভব হয়নি। সেখানে জিম্বাবুয়ে তাদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতে ৪ পয়েন্ট জমিয়ে রেখেছে। রোববার জিততে পারলে ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে নিশ্চিত। না পারলে অনেক হিসাব-কেতাবে যেতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুদলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি।
তবে স্বাগতিকদের হিসাবটা সোজা। মাশরাফীর দল ইতোমধ্যেই ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেছে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। প্রথম দুই জয়ে বোনাসসহ লাল-সবুজদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।