আরো এক বছরের প্রতীক্ষায় পর্দা নামলো ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রবিবার সন্ধ্যায় ছিলো ১৯তম চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী দিন। যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, উৎসবের প্রধানপৃষ্টপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম (এমপি)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য ম. হামিদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদানের পর এদিন রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে রাতের খাবারের আয়োজন করে উৎসব কর্তৃপক্ষ। যেখানে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে দেশের সিনেমা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সিনেমা নিয়ে স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলা সিনেমার পিছিয়ে পড়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এক সময় ছবি আসলে টিকেটের জন্য কী মারামারিই না হতো, ব্ল্যাকেও টিকেট পাওয়া যেত না। গুলিস্তানের মুন সিনেমার টিকেট ব্ল্যাকে বিক্রি হতো স্টেডিয়ামের পাশে, জিপিওতে। বলাকা সিনেমার টিকেট বিক্রি হতো নীলক্ষেতে বিভিন্ন স্পটে। সেই জনপ্রিয়তা আজ কই?
পুরনো দিনের সিনেমা দেখার স্মৃতিচারণের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী দেশের সিনেমা নিয়ে আশার কথাও শোনালেন। বললেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ৪৯৫টি উপজেলাতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি। যেখানে একটি সিনেকমপ্লেক্স থাকবে। এরকম একটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। এটা যদি করতে পারি, তাহলে বাংলা সিনেমার সুদিন হয়তো আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পারবো।
স্বল্প সময়ে দেয়া বক্তৃতায় সংস্কৃতি মন্ত্রী দেশের সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, এখন আমরা হয়ে গেছি ব্যবসা নির্ভর। পুঁজি খাটাবো, যদি ব্যবসা না হয় তাহলে আমি কেন সেটা করবো? এখন হল ভেঙে মার্কেট করলে টাকা বেশি পাওয়া যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক। যারা লগ্নি করেছেন, তার টাকাতো ফেরত পেতে হবে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী সিনেমার মানুষদের ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন, যেন সিনেমায় সুদিন ফিরিয়ে আনা যায়। সেটা যদি ঠিকঠাক দেয়া যায়, তাহলেও আবার আমরা সিনেমা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।